Thursday, February 18, 2016

কালযাত্রী



কালযাত্রী




ওজন বেড়ে গেছে বলে,
মেরুদণ্ড ফেলে দিলে হল আমাদের।
সময়ের অভাবে নিঃশ্বাসও নিয়ে আসা হয়নি।
শুধু ব্যক্তিত্ব থেকে গেল।
বুদ্ধির রেওয়াজ করে জিন থেকে জিনে অবাধ  স্থানান্তর হল।
অব্যক্ত হৃদয় আর অ্যাপেন্ডিক্স শেষ।

এরপর আর কোন কবিতার দরকার নেই, এরপরের কবিরা-
“প্রতিবন্ধি”।
কারন এদের হৃদযন্ত্র জামার ভেতর থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসে।
অশোভন দেখায়।
এদের কৃপা করে দিয়ে আসা হোক বহুকাল দূরের
কোন সময়ে;
ওই কালদ্বীপে এরা বালি খুঁড়ে খুঁজে নিক ভালবাসা।

Tuesday, February 9, 2016

স্বপ্নালু




স্বপ্নালু




এবার কিছু স্বপ্ন আসতে পারে,
বিছানা তৈরি, অন্ধকার ঘনীভূত। রাতের আকাশ
চুরি করে যারা আলো জ্বেলেছিল তারা নিভে গেছে।
লক্ষ্মীপেঁচা ডাক দিয়ে গেছে দুবার।
এখন যদি পরাবাস্তব কাছে এসে যায়, ছুঁয়ে ফেলব।
তাই ভাবছি স্বপ্ন আসুক।
 
যারা বলেছিল ঘুম পারাবে, তাঁদের ভোলাতে স্বপ্ন আসুক।
যারা বলেছিল স্বপ্ন দেখতে, তাঁদের ভোলাতে স্বপ্ন আসুক।
কিছু রঙ থাক, বাকিটা নিকষ;
কেউ চলে যাক, বাকিরা স্তব্ধ....
আমার চোখের দাগ মেটাতে স্বপ্ন আসুক।
আমার রক্ত-ক্ষরণ বাড়িয়ে স্বপ্ন আসুক।

Sunday, February 7, 2016

আত্মবন্দি


আত্মবন্দি





দিন থেকে রাত হয়,
রাত থেকে ভোর। একটু একটু করে
ছোট হয় খাঁচা।
কালকের খেলার মাঠে আজ ওঠে পাঁচিল।
কাঁটাতার, প্রহরী… গেরুয়া দেওয়াল।
বুকের ভেতরের গভীর নিঃশ্বাসটুকুও
ফিরিয়ে দিতে হবে আদমশুমারির স্বার্থে।
প্রতি রাতের শেষে একটু একটু করে ছোট হয় খাঁচা।
একটু একটু করে,

সেতুরা অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ছে।

Monday, February 1, 2016

ভ্রূণাস্ম





ভ্রূণাস্ম


এই কবিতার দাম নেই।
এই কবিতায় শিল্প খুব কম, বড় একঘেয়ে।
আমার আগে আরও হাজার মানুষ, আরও হাজার পৃষ্ঠায়
এই একি শব্দ ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে, ভেঙে-চুরে লিখে গেছে বা গেছেন।
তাই এই কবিতাটি ছাপানো যাবেনা অতি-দামি মলাটের ভেতরে।

আমার কি করনীয় ছিল?
আমি কিভাবে শিল্পী হই?
মিথ্যে বলবো? অতিনাটকীয় হব? কী করে লিখবো
অনাস্বাদিত, অভূতপূর্ব একটি লেখা?
তাঁরচেয়ে ডায়েরীটাই সামলে নিক-
আমার কলমের খোঁচাগুলি।
আমি সাহিত্যের শিশু; তাই আমার শব্দ-শিশুদের

জন্মের আগেই গর্ভপাত হোক।