Saturday, January 23, 2016

রূপান্তরিত



রূপান্তরিত




রাত পাখীর ডাক বলে “খাদ্য চাই”।
হাড়ভাঙা ছাত্রদের “শব্দ হোক”।
শেষ হিসেব, ভাগশেষ মিলছে না।
তাই মিছিল।

পিতামহও বলেছিলেন চাঁদ রুটি।
হারিয়ে যায় কোন পাতায় মৃত্যুদিন?
কোন পূর্ণিমার ভাগ নিল গ্রহন-কাল,
চর্চা হোক।

চর্চা হোক, তারপরে হোক বিকেল।
ভাঙতে থাক পাথর, আবহবিকার।
সহজপাচ্য স্বপ্নদের পুনর্বাসন।

বনভোজন।

জাগ্রত



জাগ্রত





আমি ঘুমাইনি,
জেগে আছি স।রা রাত…
রাতের শাসনে চূড়ান্ত আঘাত
হেনেছি। আর দেখছি আরও কতক্ষন জেগে থাকা যায়।

আমি ঘুমাইনি
দুপুরে বাসে হাত তুলে জড়াজড়ি করে,
অচেনা এক পুরুষের সাথে;
যতটুকু জেগে ছিলাম।
তারচেয়েও বেশী জেগে আছি এত রাতে।
কারনে নয়-
বিড়ম্বনার বিলম্বিত অকারণে আমি ঘুমাতে পারছিনা।

Thursday, January 21, 2016

শেষোক্ত


শেষোক্ত


ভেঙে গেছে বাঁশি,
তাঁর ছিঁড়ে গেছে সেতারের।
গান শোনা ভুলে,
নিত্যনৈমিত্তিক চিৎকার হাড়ে গুঁজে রাখি।

কার কথা শুনি?
সবাই একসাথে বলতে চায়। কারও কান নেই-
শুধু মুখ।
কার পাশে দাঁড়াই?
সবাই একহাত জায়গা চায়;
তা পেয়ে গেলে আরও একহাত। 
মহাবিশ্বের প্রসারণও তাই
এত তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠা চাহিদা
মেটাতে পারেনি।

তাই শেষমেশ,
কৃষ্ণগহ্বরে ডুবে যাওয়া ভালো।
নিজের আলোই 
আসবে ফিরে চোখে বারবার।
নিজের প্রাচীন মুখ দেখে যাব অনন্ত ভবিষ্যৎ ধরে।
আর সান্তনা দেব এই ভেবে,
"চিরকালই আমি খারাপ ছিলাম না।"

মুমূর্ষু




মুমূর্ষু

যা কিছু শেষ হওয়ার কথা-
           শেষ হলেই ভালো।
নাকে নল, হাতে স্যালাইন কিংবা
রাস্তায় ব্যারিকেড করে-
কয়েকটা নিঃশ্বাস, প্রাচীন বছর কোনোকিছুই
আটকে রাখা যায়না। 

তবে আরও ভালো হত-
যদি একটু একটু করে শেষ না হয়ে
দশমির সন্ধ্যার ফাঁকা চালার নিছের প্রদীপের মত
অন্তত একবার- 
দপ করে জ্বলে উঠত।
অন্তত একবার সোজা হয়ে দাঁড়াত।
একবার ব্যারিকেড ভেঙে প্রকাশ্য রাস্তায়
আমার হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে নিত।