Saturday, May 28, 2016

কালবেলা

কালবেলা




আমি জানি,
একদিন তোমার চাউনিও পারবেনা
এই যুদ্ধ থামাতে।
আর তুমিও হয়ে পরবে 
বাকি তেত্রিশ কোটি অসাড় ক্ষমতাময়ের মত
ফ্রেমবন্দী, একাকী।

আমি জানি,

একদিন তোমার সুরকে হার মানাবে 
সাইরেনের শব্দ।
আর তোমাকে চলে যেতে হবে,
জেলের হাজার সাধারন কয়েদীর মত
সশ্রম কারাদণ্ডে।

আমি জানি,

একদিন তুমি হাজার চেষ্টা করেও পারবেনা
সূচনা করতে।
আর তোমার হাতেই
প্রতি মহাকাব্যের কবির মত লেখা হবে
নির্মম উপসংহার।

Thursday, May 12, 2016

কুরুক্ষেত্র


কুরুক্ষেত্র





চোখ বন্ধ করে দরজাটুকু পেড়োতেই,
কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেলাম।
মধ্যরাত্রির মত চুপ হয়ে আছে সারি সারি মানুষ।
মনুষ্যত্বের শেষ সূর্যাস্ত দেখে যারা কেঁদেছিল অথবা
চালিয়েছে বন্দুক;
তাঁদের নিঃশ্বাসে ভারি হয়ে আছে সহস্রাব্দের পুরনো বাতাস।
তাঁদের হাড়ে শিলায়িত প্রেম জমা পড়ে আছে,
সেই প্রথম মানবতার জীবাশ্ম দেখে চমকে উঠলাম।
খসে পড়া মুখের কোটরে কি কথা ছিল?
বোঝা গেলনা কিছুই।
শুধু বোঝা গেল,
ছ’শ কোটি আত্মার সমুদ্রের ধারে-
বালিকে যতই বলি তাজমহল বানাতে,

মরুভূমির উদ্দেশ্য শুধু ইতিহাসকে ঢেকে রাখা।

Tuesday, May 3, 2016

হালখাতা


হালখাতা





চিত্রগুপ্তের টেবিলে অনেকক্ষণ
বসে থাকলে কেরানী মনে হয় নিজেকে।
যেন জন্ম আর মৃত্যুর সহস্র অর্বুদ বছর প্রাচীন কোন ফাইল,
তাঁর হলুদ মুড়মুড়ে পাতার ফাঁক দিয়ে আমায় খেয়ে ফেলতে চায়।
চিত্রগুপ্তের টেবিলে অনেক
গল্প পড়ে থাকে মাঝে মাঝে,
তাঁদের শবস্বপ্ন যোগ-বিয়োগের বিচারের অপেক্ষা করে।
হাসি পায়, তারা এখনও কতকিছু খুঁজে যায় দেখে।
গতজন্মের গোপনতম প্রেম, ভ্রান্তি, বিলাস।
ঐ টেবিলেই লেখা থাকে শেষ সর্বনাশ
তারপর কি?
চিত্রগুপ্তের টেবিলে,

অচেতন হয়ে পড়ার আগে আমি একগুচ্ছ কবিতা লিখে ফেললাম।